তালেবানরা রোববার আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল দখল করে নেয়ার পর পালিয়ে যান দেশটির প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি। পরবর্তী কয়েকদিন তার অবস্থান নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হওয়ার পর বুধবার সংযুক্ত আরব আমিরাত জানায়, মানবিক কারণে গনিকে আশ্রয় দিয়েছে তারা। খবর ডেইলি সাবাহ’র।
আমিরাতের এমন ঘোষণার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও স্ট্রিমিং করেন গনি। সেখানে তিনি তার বিরুদ্ধে আনা অর্থ নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন। পাশাপাশি দেশে ফেরার প্রতিশ্রুতি দেন। তবে তার এই প্রতিশ্রুতি বিশ্বাস করছে খোদ আমেরিকা।
যুক্তরাষ্ট্রের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়েন্ডি শেরম্যান বলেছেন, গনি ‘আফগানিস্তানে আরও কোনও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নন’। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, গনি সংযুক্ত আরব আমিরাতে পৌঁছানোর সংবাদ দেখেছেন তিনি। তবে ‘এই পর্যন্তই’। যদিও ‘মানুষের অধিকার এবং মূল্যবোধ নিয়ে সংগ্রাম চালিয়ে’ যেতে দেশে ফেরার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন গনি।
গনি বলেন, আমি আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী নিয়ে গর্বিত। তারা পরাজিত হয়নি। আমরা রাজনীতির মাঠে পরাজিত হয়েছি। এটা সরকারের নেতৃত্ব, তালেবান নেতৃত্ব এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যর্থতা। এটা শান্তি প্রক্রিয়ার ব্যর্থতা। আমি তালেবানের কাছে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ইচ্ছার বিরুদ্ধে আমাকে আফগানিস্তান থেকে উৎখাত করা হয়েছে।
আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বিদেশি বাহিনী প্রত্যাহারের ঘোষণার পর থেকেই আফগান বাহিনী এবং তালেবানদের মধ্যে লড়াই তীব্র হয়। মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আফগানিস্তানের ব্যাপক অঞ্চল দখল করে নেয় তারা। শেষ পর্যন্ত গত রোববার কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান।