আমির হাইবাতুল্লাহ হতে পারেন সরকার প্রধান

1983
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

বৈশ্বিক দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যেও আফগানিস্তানে তালেবান সরকার কাঠামো কী হবে তা এখনও অনিশ্চিত। গণমাধ্যমের আভাস, দলটির আমীর হাইবাতুল্লাহ আখুনজাদা থাকতে পারেন সরকার প্রধান। সামরিক প্রধান মোল্লা ইয়াকুব, সিরাউদ্দিন হাক্কানি আর সাবেক উপমন্ত্রী আব্বাস স্তানিকজাই আসতে পারেন বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বে। তবে প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌঁড়ে সবচেয়ে এগিয়ে মোল্লাহ আবদুল গনি বারাদার।

আফগান রাষ্ট্রের বিভিন্ন শীর্ষ পদে কারা বসছেন তা নিয়েই চলছে জল্পনা। তবে বেশি আলোচনায় দলটির এখনকার প্রধান হাইবাতুল্লাহ আখুনজাদা। ২০১৬ তে মার্কিন হামলায় মোল্লা মনসুরের মৃত্যুর পর, আমীর পদে বসেন। যিনি পাকিস্তানের কুচলাক শহরের এক মসজিদে ইমামতি করেছেন টানা ১৫ বছর।

তালেবান প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের ৩০ বছর বয়সী ছেলে, মোল্লা ইয়াকুব এখন এ গোষ্ঠীর সামরিক প্রধান। সোভিয়েত বিরোধী লড়াইয়ের নেতা জালালুদ্দিন হাক্কানির ছেলে সিরাউদ্দিন হাক্কানিও তালেবানের উপ-প্রধান।

মোল্লাহ আবদুল গনি বারাদার। দোহায় শান্তি আলোচনার প্রধান এ সমন্বয়ককে ভাবা হচ্ছে আফগান রাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট। মোল্লা ওমরের ঘনিষ্ঠ সহযোগি ছিলেন। সোভিয়েত বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই দিয়ে যুদ্ধে হাতেখড়ি। ২০১০এ পাকিস্তানে গ্রেপ্তারও হন তিনি।

দুই দশক আগে তালেবান সরকারের উপমন্ত্রী শের মোহাম্মদ আব্বাস স্তানিকজাই। তালেবানের হয়ে কূটনৈতিক তৎপরতায় নেতৃত্ব দেন। আলোচনায় আছেন শরিয়াহ কাউন্সিলের প্রধান আবদুল হাকিম হাক্কানি। হাইবাতুল্লাহর সবচেয়ে বিশ্বস্তও তিনি।

১৯৯৬ থেকে ২০০১ ক্ষমতায় থাকাকালে নানা কট্টর ধর্মীয় আইন চালু করে তালেবান সরকার।

তালেবানি আইন
১. নারীদের বাধ্যতামূলক বোরখা পরিধান।
২. পুরুষদের দাড়ি রাখা
৩. অশ্লীল গান-বাজনা নিষিদ্ধ।
৪. চুরির শাস্তি হাতের কব্জি কর্তন।
৫. জেনার শাস্তি ১০০ ঘা চাবুক।

আফগানিস্তানের শিল্পকলা সংগঠন ‘আর্ট লর্ডস’ এর প্রতিষ্ঠাতা ওমাইদ শারিফি বলেন, নাচ, গান, টেলিভিশন নিষিদ্ধ ঘোষিত হবে। চিত্রশিল্প, ভাস্কর্য ও প্রতিকৃতির কোন প্রকার প্রচলন থাকবে না। আমরা ফের কয়েকশো বছর পিছিয়ে যাবো। বর্ণহীন ও ভালোবাসাহীন এক যুগে ফিরে যাবো।

তবে, তালেবান বলছে, তারা নারী শিক্ষায় বাধা হবে না উদারভাবে দেশ চালাবে। তালেবান নিযুক্ত প্রাদেশিক শিক্ষা বিভাগের প্রধান মৌলভি জানাত গুল আজিজ বলেন, আমরা শিক্ষা অর্জনের বিরোধী নই। শরীয়তের নিয়ম মেনে ছেলে-মেয়ে উভয়ে পড়াশোনা করতে পারবে। নির্দিষ্ট বয়সের কোন বাধ্যবাধকতা থাকবে না। ইসলামি শিক্ষার সাথে আধুনিক ও উচ্চ শিক্ষার্জনেও ইসলামি আমিরাত সকলকে পরিপূর্ণ সহায়তা করবে।

কদিনের মধ্যেই স্পষ্ট হবে আফগান নতুন সরকারের রুপরেখা। তবে, আগামী দিনে প্রতিবেশি ভারতসহ পশ্চিমা দেশগুলো কট্টর ইসলামপন্থী সরকারের সঙ্গে কীভাবে কূটনৈতিক সর্ম্পক স্থাপন করবে তাই দেখার বিষয়।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন