বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ায় আগামী বুধবার থেকে ট্রেন চালু হবে। এবার আর অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে নয়, আসন পূর্ণ করেই সব ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। এ ক্ষেত্রে অর্ধেক টিকিট বিক্রি হবে অনলাইনে এবং বাকি অর্ধেক স্টেশনের কাউন্টারে পাওয়া যাবে। আসন ফাঁকা না রাখলেও যাত্রীদের মাস্ক পরার বিষয়টি নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব দেবে রেলওয়ে। সোমবার সকাল থেকে কাউন্টারে টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে।
করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার এ বছরের ৫ এপ্রিল থেকে ধাপে ধাপে বিধিনিষেধ দিয়ে আসছে। এর পাশাপাশি এবার স্থানীয় প্রশাসনও বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ বিধিনিষেধ জারি করেছিল। কিন্তু তারপরও করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ১ জুলাই থেকে দুই সপ্তাহ সারা দেশে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হয়। ঈদের সময় আট দিনের বিরতি দিয়ে আবার কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয় যা ১০ আগস্ট শেষ হচ্ছে। ফলে ১১ আগস্ট থেকে চলবে ট্রেন।
রেলপথ মন্ত্রণালয় ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানায়, বুধবার থেকে আন্তনগর ও মেইল মিলিয়ে ৫৭ জোড়া ট্রেন চালানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে আন্তনগর ৩৮ জোড়া এবং মেইল ও কমিউটার ট্রেন ১৯ জোড়া।
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১৫ থেকে ২৩ জুলাই সকাল ছয়টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ শিথিল করে সরকার। সে সময় ৫৭ জোড়া ট্রেন চলাচল করে। তবে তখন অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে সব টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হয়েছে। কাউন্টারে কোনো টিকিট বিক্রি করা হয়নি। গত বছরের ৮ মার্চ দেশে করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে এত দিন ন্যূনতম শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য গণপরিবহনে এক আসন ফাঁকা রেখেই যাত্রী নেয়া হয়।