ঘুম হারাম পরী-পিয়াসার ২১ অতিথির

1992
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

অভিনেত্রী পরী ও মডেল পিয়াসা গ্রেপ্তারের পর বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গেছে, আরও এক ডজন মডেল রয়েছেন নজরদারিতে। আর এতে আতঙ্কে কমপক্ষে ২১ প্রভাবশালী ব্যক্তি।

সূত্রে জানা গেছে, ওইসব প্রভাবশালীরা মডেলদের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তাদের নিয়ে তারা দেশের বাইরেও ‘প্লেজার ট্রিপে’ গেছেন। তাদের বিরুদ্ধে মডেলদের বিভিন্ন অপরাধে ব্যবহার ও ইন্ধন জোগানোর অভিযোগ রয়েছে। এদের গতিবিধি নজরদারিতে রেখেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরও জানা গেছে, প্রভাবশালীদের মধ্যে বিভিন্ন ব্যবসায়ী রয়েছেন। রাজধানীর তারকা হোটেল ও পার্টি হাউজে তাদের নিয়মিত যাতায়াত ছিল। এছাড়া ‘স্পা সেন্টার’সহ নামে-বেনামে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আড়ালে গুলশান-বনানীর ২৭টি স্থানেও প্রভাবশালীদের নিয়মিত যাতায়াত ছিল।

সূত্রে জানা যায়, ওইসব প্রভাবশালীদের ঘন ঘন বিদেশ যাত্রার তথ্য পুলিশের ইমিগ্রেশন শাখা থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে পিয়াসা, মিশু, জিসান ও একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কর্ণধার ব্যক্তির দুই ছেলের একসঙ্গে সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়া ভ্রমণের তথ্য বেরিয়ে এসেছে। দেশের বাইরে অবস্থানকালে তাদের অনেকের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও ও স্থিরচিত্র এখন গোয়েন্দাদের হাতে।

এর আগে গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ পর্যায়ের এক সদস্য আরটিভি নিউজকে বলেন, অসাধু ধনীর দুলাল বা প্রভাবশালীদের তালিকা আমাদের হাতে রয়েছে। প্রয়োজন হলে সেগুলো কাজে লাগানো হবে।

সূত্র জানায়, গুলশান-বনানী-উত্তরায় বারকেন্দ্রীক অপকর্মে একাধিক গ্রুপ অব কোম্পানির কর্ণধার, অভিজাত এলাকায় ক্লাব পরিচালনায় দায়িত্বরত ব্যক্তি, শীর্ষ পর্যায়ের গাড়ি আমদানিকারক ও ব্যবসায়ী এবং কয়েকজন রাজনৈতিক নেতার নাম গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে। যারা ওইসব মডেল, নায়িকা বা সুন্দরী তরুণীদের সঙ্গ নিতো এবং খুশি হয়ে বিনিময়ে বস্তুগত এবং অবস্তুগত উপহার প্রদান করতো। তবে ওইসব সেনসেশনাল তরুণীরা তাতে সন্তুষ্ট না হয়ে তাদের সঙ্গ নেওয়া ধনীর দুলালদের গোপন ছবি ও ভিডিও দেখিয়ে ব্লাকমেইল করে মোটা দাগের অর্থ হাতিয়ে নিতো। অন্যথায় ওইসব ছবি বা ভিডিও পরিবারের কাছে পাঠিয়ে হেনস্তা করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হতো।

উল্লেখ্য, গেল রোববার রাতে মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও মরিয়ম আক্তার মৌকে গ্রেপ্তার করা হয়। মাদক আইনের মামলায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে তাদের শুক্রবার আদালতে উপস্থাপন করা হয়। এরপর রাজধানীর তিন থানার আলাদা তিনটি মাদক মামলায় পিয়াসার আট দিন ও মৌকে একটি মামলায় চার দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। বুধবার বিকেলে পরীমণিকে গ্রেপ্তারের পর মাদক মামলায় তাকে চার দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। এছাড়া তাদের সহযোগীদেরও আটকের পর রিমান্ডে নিয়েছেন। জিজ্ঞাসাবাদে নানা অবৈধ ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা তারও স্বীকারও করেছেন।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন