রাজের বাসায় বানানো হত পর্নো, মিলেছে প্রমাণ

2104
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

চিত্রনায়িকা পরীমনিকে জিজ্ঞাসাবাদের পর তার সহযোগী রাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্নধার চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজের বনানীর বাসায় অভিযান পরিচালনা করে র‍্যাব। এই অভিযানের পর রাজকেও র‍্যাব সদর দপ্তরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।

রাজের বনানীর বাসা থেকে প্রচুর পরিমাণে মাদকের পাশাপাশি বিকৃত যৌনাচারের নানা সরঞ্জাম উদ্ধার করে র‍্যাব। সূত্র থেকে জানা যায়, একাধিক নারী-পুরুষ একসঙ্গে বিকৃত যৌনাচারে ব্যবহার্য সরঞ্জামাদি দিয়ে সজ্জিত একটি ঘর পাওয়া যায় রাজের বাসায়। এই ঘরটিতে রয়েছে বিশেষ বিছানা। এই বাসাতে পর্নো ভিডিও বানানো হতো বলেও জানা গেছে।

এর আগে বিকেল ৪টার পর চিত্রনায়িকা পরীমনির বাসায় অভিযান পরিচালনা করে র‌্যাব। প্রায় ৪ ঘণ্টা অভিযান শেষে পরীমনিকে বিপুল পরিমাণ মদসহ বাসা থেকে আটক করে। পরীমনি বাসার ভেতরে মিনি মদের বার পাওয়া গেছে। যেখানে বিভিন্ন বিদেশি ব্র্যান্ডের মদ সাজিয়ে রাখা ছিল। আছে আসর বসানোর পাশ্চাত্য ধাচের সব আসবাব।

র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে তার (পরীমনির) বাসায় অভিযান চালানো হয়, বিস্তারিত পরে জানানো হবে।’

তারও কিছুক্ষণ আগে পরীমনি ফেসবুক লাইভে এসে অভিযোগ করেন, তার রাজধানীর বনানীর বাসায় কেউ অভিযানে এসেছে। কে বা কারা তার বাসার দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করছেন।

পরীমনি অভিযোগ করে বলেন, তার বাসায় ‘বিভিন্ন পোশাকে’ লোকজন এসে ফ্ল্যাটের দরজা খুলতে বলছেন। কিন্তু তিনি দরজা খুলতে ভয় পাচ্ছেন। এজন্য সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করেন।

লাইভে এসে পরীমনি বারবার অভিযোগ করেন, পুলিশকে খবর দেওয়া হলেও কোনো সাহায্য পাচ্ছেন না। মিডিয়ার লোকদের বাসায় ডাকছেন তিনি। লাইভে পরীমনিকে বলতে শোনা যায়, ‘কারা যেন আমার বাসায় ঢোকার চেষ্টা করছে। কেউ কালো কাপড় পরে আছেন, কেউ রঙিন কাপড় পরে আছেন। এরা কারা ভাই? আমি লাইভ কাটছি না।

এর আগে গত ১৩ জুন পরীমনির একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস ঘিরে তোলপাড় হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। পরে ওইদিন রাতে বনানীর নিজ বাসায় ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন পরী। সে রাতে সংবাদ সম্মেলনে অভিযুক্তদের নাম প্রকাশ করেন চিত্রনায়িকা। জানান, ৮ জুন ঢাকা বোট ক্লাবে তাকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা চালান ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদ।

পরদিন সকালে এ ঘটনায় করা মামলায় ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদ (৬৫), তুহিন সিদ্দিকী অমি (৩৩), লিপি আক্তার (১৮), সুমি আক্তার (১৯) ও নাজমা আমিন স্নিগ্ধাকে (২৪) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। উদ্ধার করা হয় এক হাজার পিস ইয়াবা, বিদেশি মদ ও বিয়ার।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন