সিনোভ্যাক টিকা নেয়ার ছয় মাসেই বিলীন হয় অ্যান্টিবডি: গবেষণা

2030
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

চীনের সিনোভ্যাক বায়োটেকের কোভিড-১৯ টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার ছয় মাস যেতে না যেতেই শরীর থেকে মিলিয়ে যেতে শুরু করে অ্যান্টিবডি। এমনকি এই অ্যান্টিবডির মাত্রা নির্ধারিত সর্বনিম্ন মানদণ্ডের নিচেও চলে যায়।

চীনের বিজ্ঞানীদের ল্যাবে করা নতুন এক গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে বলে সোমবার খবর দিয়েছে রয়টার্স। তবে তৃতীয় একটি ডোজ দেয়া হলে তা করোনার বিরুদ্ধে শক্তিশালী অ্যান্টিবডি তৈরি করে বলেও দাবি করা হয়েছে ওই গবেষণায়।

রোববার প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে, সিনোভ্যাকের টিকা নেওয়া ১৮ থেকে ৫৯ বছর বয়সী সুস্থ প্রাপ্তবয়স্কদের সংগৃহীত রক্তের নমুনা নিয়ে চালানো গবেষণায় এই ফল পাওয়ার কথা জানিয়েছেন চীনা গবেষকরা। তবে এই গবেষণা এখনও পিয়ার রিভিউড জার্নালে প্রকাশিত হয়নি।

গবেষণায় অংশ নেওয়া স্বেচ্ছাসেবীরা দুই থেকে চার সপ্তাহের ব্যবধানে সিনোভ্যাক বায়োটেকের টিকার দুই ডোজ নিয়েছেন। গবেষণায় বলা হয়েছে, দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার পর প্রায় ছয় মাস পর্যন্ত করোনাকে নিস্ক্রিয়কারী অ্যান্টিবডি যথাক্রমে ১৬ দশমিক ৯ শতাংশ ও ৩৫ দশমিক ২ শতাংশ ছিল। গবেষণার এই ফল ৫০ জনের বেশি করে স্বেচ্ছাসেবীদের দু’টি দলে পাওয়া গেছে।

গবেষণায় অংশ নেওয়া অন্য ৫৪০ জন স্বেচ্ছাসেবীকে তৃতীয় ডোজ দেয়া হয়েছিল। চীনা এই গবেষণায় কয়েকটি দলে ভাগ করা স্বেচ্ছাসেবীদের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার ছয় মাস পর তৃতীয় ডোজ দেয়া হয়েছিল। এতে দেখা যায়, তৃতীয় ডোজ দেয়ার ২৮ দিন পর নিস্ক্রিয়কারী অ্যান্ডিবডির মাত্রা প্রায় ৩ থেকে ৫ গুণ বৃদ্ধি পায়; যা দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার চার সপ্তাহ পর পাওয়া অ্যান্টিবডির তুলনায় অনেক বেশি।

চীনের জিয়াংশু প্রদেশে সিনোভ্যাক এবং চীনের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এই গবেষণা পরিচালনা করেছে। তবে করোনার অতি-সংক্রামক ধরনগুলোর বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডির কার্যকারিতার ব্যাপারে গবেষণা করা হয়নি বলে সতর্ক করে দিয়েছেন গবেষকরা। এ ছাড়া তৃতীয় ডোজ দেয়ার পর অ্যান্টিবডির টিকে থাকার সময়সীমার ব্যাপারে জানতে আরও গবেষণা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন তারা। সূত্র : রয়টার্স

শেয়ার করতে ক্লিক করুন