কঠোর বিধিনিষেধের তৃতীয় দিন রাজধানীর সড়কে পুলিশের কড়াকড়ি

2125
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

করোনা সংক্রমণ কমাতে দেশব্যাপী দ্বিতীয় দফার আরোপিত কঠোর বিধিনিষেধের তৃতীয় দিন রোববার। গত দুই দিনের তুলনায় আজ রাজধানীর সড়কে রিকশা ও ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। তবে সড়কে পুলিশের চেকপোস্টে তল্লাশী ছিল আগের মতোই। পুলিশ বিভিন্ন সড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে  চেকপোস্ট বসিয়ে অহেতুক যান চলাচল নিয়ন্ত্রন করার চেষ্টা করছে। সড়কে কেউ বের হলেই পুলিশি জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে। বিনা প্রয়োজনে কেউ বের হলে কোন ছাড় দেয়া হচ্ছে না। সরকারি বিধিনিষেধ ভঙ্গ করায় গ্রেফতার ও জরিমানাও করা হচ্ছে।
রোববার সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার এবং শাহবাগ এলাকাসহ নগরীর  বিভিন্ন স্থানে এমন চিত্র  দেখা গেছে। সকালে শাহবাগ ঘুরে দেখা যায়, ঘর থেকে বের হওয়া মানুষেরা জরুরি প্রয়োজন ও নানা ধরনের অজুহাত  দেখাচ্ছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের। অনেক  সেবামূলক প্রতিষ্ঠান  খোলা থাকায়  সেসব প্রতিষ্ঠানের কর্মীদেরও অফিসে  যেতে  দেখা  গেছে।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে,এ সময় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হলে তাকে শাস্তির আওতায়  নেওয়া হবে। বিধিনিষেধ চলাকালে জনগণকে সতর্ক থাকা, মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে।
বিধিনিষেধ কার্যকর করতে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি ও  সেনাবাহিনীর সদস্যরাও মাঠে রয়েছেন।
সকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ি, সায়েদাবাদ, খিলগাঁও, বাসাবো, মতিঝিল, পল্টন ও শাহবাগ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে সড়কের মোড়ে মোড়ে বাশঁ দিয়ে ব্যারিকেট দিয়ে পুলিশ যান চলাচল নিয়ন্ত্রন করার চেষ্টা করছে।
গত ১৩ জুলাই বিধিনিষেধ আরোপ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। আদেশে ১৪ জুলাই মধ্যরাত  থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছিল ঈদের কারণে। ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে নতুন করে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয় এই  ঘোষণায়। আগামী ৫ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ বহাল থাকবে।
সরকার ঘোষিত ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিনে গতকাল ৩৮৩ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
শনিবার সন্ধ্যায় ডিএমপির মিডিয়া ও পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) ইফতেখারুল ইসলাম বাসসকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, জরুরী প্রয়োজন ছাড়া অহেতুক ঘোরাফেরা করায় রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩৮৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ।
এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১৩৭ জনকে ৯৫ হাজার ২৩০ টাকা জরিমানা করা হয়। অপরদিকে ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগ ৪৪১টি গাড়ির ১০ লাখ ৮৩ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন