একদিনে ২০০ মৃত্যু, শনাক্ত ১১ হাজার ৫৭৯

2075
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৮ হাজার ৩২৫। গতকাল রেকর্ড ২৩১ মৃত্যুর পর, এই সংখ্যা আজ কিছুটা কমেছে। এর আগে একদিনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৩০ জনের মৃত্যু হয়েছিল গত ১১ জুলাই।

গতকালের তুলনায় আজ শনাক্তও কমেছে কিছুটা। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ১১ হাজার ৫৭৯ জন। এতে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ২৮ হাজার ৮৮৯ জন। গতকাল শনাক্ত হয়েছিল ১৩ হাজার ৩২১ জন, এটি এক দিনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংক্রমণ। এর আগে গত ১২ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৩ হাজার ৭৬৮ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল।
এর মধ্যে কেবল ঢাকা বিভাগেই এক দিনে ৪ হাজার ৮৫৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে, যা দিনের মোট শনাক্তের প্রায় ৪২ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিভাগে রোগী শনাক্ত বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৬৩২ জন। আর যে ২০০ জন গত এক দিনে মারা গেছেন, তাদের ৭৩ জনই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা। খুলনা বিভাগে ৫০ এবং চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৯ লাখ ৫১ হাজার ৩৪০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৯ হাজার ৯৯৭ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৩৯ হাজার ৫১০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ২৯ দশমিক ৩১ শতাংশ।
রোববার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তেরর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছর ৮ মার্চ; প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। প্রথম মৃত্যুর আড়াই মাস পর গত বছরের ১০ জুন মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ছাড়ায়। এরপর ৫ জুলাই ২ হাজার, ২৮ জুলাই ৩ হাজার, ২৫ অগাস্ট ৪ হাজার, ২২ সেপ্টেম্বর ৫ হাজার ছাড়ায় মৃতের সংখ্যা।

এরপর কমে আসে দৈনিক মৃত্যু। ৪ নভেম্বর ৬ হাজার, ১২ ডিসেম্বর ৭ হাজারের ঘর ছাড়ায় মৃত্যুর সংখ্যা। এ বছরের ২৩ জানুয়ারি ৮ হাজার এবং ৩১ মার্চ মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৯ হাজার ছাড়ায়।

সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর পর ১৫ দিনেই এক হাজার কোভিড-১৯ রোগীর মৃত্যু ঘটলে গত ১৫ এপ্রিল মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর পরের এক হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটাতে মাত্র দশ দিন সময় নেয় করোনাভাইরাস; মোট মৃতের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়ে যায় ২৫ এপ্রিল।

তার ১৬ দিন পর ১১ মে করোনাভাইরাসে মৃত্যু ১২ হাজার ছাড়িয়ে যায়। তার এক মাস পর ১১ জুন তা ১৩ হাজার ছাড়িয়েছিল। এর ১৫ দিন পর ২৬ জুন এই সংখ্যা ১৪ হাজার ছাড়িয়ে যায়। ৪ জুলাই ১৫ হাজার ছাড়ায় মৃত্যু। মাত্র ছয় দিন পরে গত ৯ জুলাই মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১৬ হাজার ছাড়ায়। গত ১৪ জুলাই এ সংখ্যা ১৭ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর পাঁচ দিনের মাথায় ১৯ জুলাই মৃত্যু ছাড়ায় ১৮ হাজার।

পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হওয়ায় ২২ জুন থেকে ঢাকাকে সারা দেশ থেকে অনেকটা বিচ্ছিন্ন রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সেই প্রচেষ্টায় ঢাকার আশপাশের চারটি জেলাসহ মোট সাতটি জেলায় জরুরি সেবা ছাড়া সব ধরনের চলাচল ও কার্যক্রম ৩০ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল।

তবে এরপরও করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ২৮ জুন থেকে সারা দেশে সব গণপরিবহন ও মার্কেট-শপিং মল বন্ধ করা হয়েছে। গত ১ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে কঠোর লকডাউন, বন্ধ রয়েছে সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। সর্বাত্মক লকডাউন ১৪ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়। ঈদ উপলক্ষে ১৫ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন শিথিলের ঘোষণা দেয় সরকার।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন