নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের ফুড কারখানায় আগুনের দুর্ঘটনায় উদ্ধার ৪৮টি মরদেহের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এরমধ্যে ১৯টি মরদেহের বিপরীতে সকাল পর্যন্ত ২৬ স্বজনের ডিএনএ সংগ্রহ করা হয়েছে।
নিহতদের পরিচয় শনাক্তে চলছে স্বজনদের ডিএনএ সংগ্রহের কার্যক্রম। ঢাকা মেডিকেলে নমুনা সংগ্রহের কাজ পরিচালনা করছে সিআইডি। এরি মধ্যে নিহত ও নিখোঁজদের স্বজনরা নমুনা দিতে ভিড় করেছেন সেখানে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সব নমুনা সংগ্রহ করতে ২১ থেকে ৩০ দিন সময় লাগতে পারে। এরপর মরদেহগুলো হস্তান্তর কার্যক্রম শুরু হবে। এদিকে, আগুনের ঘটনায় কারখানার ছাদ থেকে লাফিয়ে পরে আহত ৩ নারী ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে ভর্তি রয়েছেন। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
নারায়ণগঞ্জের কারখানার আগুনে দগ্ধ মরদেহ শনাক্তে ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। এরই মধ্যে স্বজনদের নমুনা নেয়া শুরু করেছে সিআইড। তবে শনাক্তের কাজ শেষ হতে কত সময় লাগবে তা নিশ্চিত করতে পারেনি তারা। এদিকে, নিখোঁজদের সন্ধান পেতে ঢাকা মেডিকেলে আসেন স্বজনেরা।
শুক্রবার বেলা তিনটার দিকে নারায়ণগঞ্জ থেকে একে একে ৫টি অ্যাম্বুলেন্স আসে ঢাকা মেডিকেলে। সেখান থেকে নামিয়ে ৪৯ শ্রমিকের মরদেহ নেয়া হয় মর্গে।
এরপর সেখানে বাড়তে থাকে স্বজনদের ভিড়। কেউ এসেছে ছেলের খোঁজে কেউ বা খুঁজছেন ভাই বা ভাগ্নের। তাদের কান্নায় তখন ভারী হয়ে উঠে পরিবেশ।
তবে দগ্ধ শ্রমিকের পরিচয় শনাক্তে জটিলতা দেখা দেয়ায়, নেয়া হয়েছে ডিএনএ পরীক্ষার সিদ্ধান্ত। এরই মধ্যে স্বজনদের নমুনা নিতে শুরু করেছে সিআইডি।
এদিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে মরদেহ শনাক্তের কাজ শেষ করার দাবি জানিয়েছেন স্বজনেরা।
বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আগুন লাগে ওই কারখানায়। মুহূর্তে সে আগুন ছড়িয়ে পড়ে ছয়তলার ওই ভবনটিতে। তখন সেখানে কাজ করছিলেন অন্তত চারশ কর্মী। কলাপসিবল গেইট বন্ধ থাকায় জীবন বাঁচাতে বেশ কয়েক জনকে লাফিয়ে পড়তে দেখা যায় ছাদ থেকে। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও ডেমরা ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট ২০ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
শুক্রবার পুড়ে যাওয়া ভবন থেকে একে একে বের করা হয় মরদেহ। কারখানা থেকে দুপুরে ৪৯টি মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। এতে ওই দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৫২ জনে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।