মজুদ শেষ, টিকা গ্রহীতাদের ভিড় হাসপাতালে

1704
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

চট্টগ্রামে ফুরিয়ে এসেছে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক টিকা। ইতোমধ্যে সিটি করপোরেশন জেনারেল হাসপাতালে বন্ধ হয়ে গেছে টিকাদান কর্মসূচি। টিকা না পেয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ করেছেন টিকা নিতে আসা গ্রাহকরা।

রোববার (৯ মে) সকালে নগরের সদরঘাট এলাকায় অবস্থিত সিটি করপোরেশন জেনারেল হাসপাতালের সামনে এ চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিন দেখা যায়, এই হাসপাতালে প্রবেশপথ বন্ধ করে রাখা হয়েছে। গেইটের বেইরে অবস্থান করছেন টিকার ২য় ডোজ গ্রহণের জন্য আসা শতাধিক মানুষ। পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়েন করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের।

টিকা নিতে আসা লোকজন জানান, শনিবার থেকে টিকা প্রদান কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। এসএমএস আসার পরও হাসপাতাল থেকে টিকা দেওয়া হচ্ছে না। আবার টিকা নেই- একথাও বলছে না কর্তৃপক্ষ।

তবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী বলেন, আমাদের টিকা কার্যক্রম চলমান আছে। যাদের টিকার তারিখ ও এসএমএস দেওয়া হয়নি তারাও টিকা নেওয়ার জন্য ভিড় করছে। তাদের টিকা দিতে না চাইলে হাসপাতালের কর্মচারীদের মারধর করছে।

এর আগে শনিবারও (৮ মে) টিকা না পেয়ে হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ করেন দ্বিতীয় ডোজ নিতে আসা আগ্রহীরা।

এদিকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালেও ফুরিয়ে এসেছে টিকার মজুদ। টিকা শেষ হয়ে যাওয়ায় সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে অল্প সংখ্যক টিকা এনে সীমিত পরিসরে চালানো হচ্ছে টিকাদান কার্যক্রম।

চমেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ুন কবির বলেন, আমাদের এখানে টিকার মজুদ ফুরিয়ে এসেছে। সীতির সংখ্যক টিকা দিয়ে চলছে টিকা কার্যক্রম। সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে কিছু টিকা এনে এ কার্যক্রম চালু রেখেছি।

টিকা কার্যক্রম বন্ধ আছে কিনা জানতে চাইলে সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, জেলায় টিকাদান কার্যক্রম এখনও চলছে। সিটি করপোরেশন এলাকায় সীমিত সংখ্যক মানুষকে টিকা দেওয়া হচ্ছে। তবে আমাদেরও টিকার মজুদ ফুরিয়ে এসেছে।

জানা গেছে, ভারত থেকে চুক্তি অনুযায়ী সময়মতো করোনার টিকা দেশে না আসায় এ অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে যারা টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন, সময়মতো তাদের দ্বিতীয় ডোজ পাওয়াটা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

ত্রিপক্ষীয় চুক্তির আওতায় ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট ৩ কোটি ডোজের মধ্যে গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশকে ৭০ লাখ টিকা দিয়েছে। প্রতি মাসে ৫০ লাখ করে টিকা দেওয়ার কথা থাকলেও এরপর আর কোনো টিকার চালান আসেনি।

চুক্তির আওতায় সেরাম থেকে ২ কোটি ৩০ লাখ টিকা পেতে বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছে। তবে ভারতে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আগামি এক মাসের মধ্যে বাংলাদেশ চুক্তি অনুযায়ী টিকা পাবে কি-না তা অনিশ্চিত।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন