আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার আবেদনসংক্রান্ত ফাইলটি গতকাল বুধবার রাত ১১টায় আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিবের কাছে এসেছে। এখন যথাযথ প্রক্রিয়া শেষ করে সেটি তাঁর (মন্ত্রী) কাছে আসবে। তারপর সেটি দেখে এ বিষয়ে মতামত দেবেন। তবে এখনো তাঁর হাতে ফাইলটি আসেনি। এলে কী ধরনের মতামত বা প্রক্রিয়া হতে পারে, তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেখার পরে সেটি বলতে পারবেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ কথা বলেন।
ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে চায় তাঁর পরিবার। এ জন্য সরকারের অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের কাছে লিখিত আবেদন করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ধানমন্ডির বাসায় লিখিত আবেদনটি নিয়ে যান খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার।
লিখিত আবেদনটি পাওয়ার পরপরই তা মতামতের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিবের কাছে রাতেই পাঠানো হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় গত ২৭ এপ্রিল। খালেদা জিয়া গত ১১ এপ্রিল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। আনুষ্ঠানিকভাবে আরটিপিসিআর পরীক্ষায় তিনি করোনা নেগেটিভ হননি।
তবে খালেদা জিয়ার চিকিৎসক এ জে এম জাহিদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেছেন, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর দুই সপ্তাহ অনেক আগেই পার করেছেন খালেদা জিয়া।
করোনা চিকিৎসার আন্তর্জাতিক গাইড লাইন অনুযায়ী দুই সপ্তাহ পর করোনার কোনো উপসর্গ শরীরে না থাকলে ধরে নেওয়া হয় ওই ব্যক্তির দ্বারা করোনা সংক্রমণ হবে না। এ কারণে খালেদা জিয়াকে নন-কোভিড রোগী হিসেবেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।