করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালের কেবিন থেকে সিসিইউতে (করোনারি কেয়ার ইউনিট) স্থানান্তর করা হয়েছে। শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় আজ সোমবার দুপুর ২টার দিকে তাকে সিসিইউতে নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত মেডিকেল টিমের সদস্য এজেডএম জাহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘ম্যাডাম কিছু শ্বাসকষ্ট অনুভব করছিলেন সকালের দিকে। পরে চিকিৎসকরা সিসিইউতে স্থানান্তর করেছেন। উনার অবস্থা এই মুহুর্তে (সাড়ে ৪টায়) স্থিতিশীল। তবে ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, ভোর থেকে শ্বাসকষ্ট অনুভব হওয়ায় আজ সোমবার বেলা ২ টার দিকে চিকিৎসকরা তাকে পর্যবেক্ষণের জন্য সিসিইউতে নেন। তার অক্সিজেন লেভেল ৯৪/৯৩ উঠানামার মধ্যে তাকে সিসিইউতে নেওয়া হয়।’
জানা যায়, গত ২৭ এপ্রিল শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় খালেদা জিয়াকে।
তিনি সেখানে ৭২০৩ নম্বর কেবিনে ছিলেন। তখন চিকিৎসকরা জানান, তার শারীরিক অবস্থা স্ট্যাবল। করোনার কোনো উপসর্গ না থাকায় তাকে ননকোভিড জোনে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে তার শ্বাসকষ্ট বাড়ায় তাকে সিসিইউতে নেওয়া হয়। এর আগে সেখানে সিটি স্ক্যান (চেস্ট), হৃদযন্ত্রের কয়েকটি পরীক্ষা করা হয়। খালেদা জিয়া পায়ের ব্যাথাতেও ভূগছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। ফলে অন্যের সাহায্য ছাড়া চলাফেরা করতে পারেন না বিএনপি চেয়ারপারসন।
গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনা শনাক্ত হয়। এরপর থেকে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকীরে নেতৃত্বে চিকিৎসা শুরু হয়। করোনা আক্রান্তের ১৪ দিন পার হওয়ার পর নমুনা পরীক্ষা করা হলে পুনরায় ফল পজিটিভ আসে।
গত বছর ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে দুই মামলায় দণ্ডিত খালেদা জিয়াকে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। এরপর আরও দুইদফা তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়। কারাগার থেকে মুক্তির পর তিনি গুলশানে নিজের ভাড়া বাসা ফিরোজায় থেকে ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার তাকে বাসা থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার সিটিস্ক্যান করানো হয়। পরে তাকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খালেদা জিয়ার ‘ফিরোজা’র বাসায় তিনি ছাড়াও আরও আটজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।