নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা মো. ইসমাইল হোসাইন বলেছেন, মামুনুল হক অপবিত্র অবস্থায় পবিত্র মসজিদে ঢুকে বক্তব্য দিয়ে পবিত্র মসজিদ কে অপবিত্র করেছেন। এটা জনগণের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ। মাওলানা মামুনুল হক একটি মেয়েকে নিয়ে সোনারগাঁওয়ে রিসোর্টে হোটেলে গিয়ে ওই মেয়ের সাথে আনন্দ-ফূর্তি করেছেন। মাদ্রাসার ওলামা এ কে রাম সহ পীর মাশায়েখ ও মাদ্রাসার ছাত্র বন্ধুগণের নিকট আমি সহ দেশের জনগণের প্রশ্ন মাওলানা মামুনুল হক যদি তার দ্বিতীয় স্ত্রী হয়ে থাকেন তাহলে হোটেলে বৈধ স্ত্রী হইলে সহবাস করেছেন। আর যদি অবৈধ হয়ে থাকেন তাহলে জেনা করেছেন। জনরোষে মাধ্যমে ধরা পড়লে তখন তো মামুনুল হক ফরজ গোসল করার সময়টি পায়নি। মাওলানা মামুনুল হক কিভাবে অপবিত্র অবস্থায় হোটেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরে মসজিদে ঢুকে অপবিত্র অবস্থায় বক্তব্য রাখলেন।
মো. ইসমাইল হোসাইন বলেন, পবিত্র মসজিদে নাপাক অবস্থায় ঢোকা সম্পূর্ণরূপে হারাম। শ্রদ্ধেয় ওলামা এ কে রাম ও পীর মাশায়েখ বোনের কাছে আমার প্রশ্ন আপনাদের বিবেকের কাছে আমি নিরপেক্ষভাবে প্রশ্ন করতে চাই মাওলানা মামুনুল হক বাংলাদেশের আলেম সমাজকে ও ছাত্র সমাজকে উস্কে দিয়ে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছেন মাদ্রাসা ছাত্র নিহত হয়েছে মাদরাসার আলেম ও ছাত্র বৃন্দ আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। দেশের ভেতরে একটি উত্তেজনা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বহু আলেম ও ছাত্রদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধীসহ রাষ্ট্রের সম্পদ ধ্বংসকারী হিসাবে মামলা হয়েছে। আর মাওলানা মামুনুল হক নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ রিসোর্টে মেয়ে নিয়ে আনন্দ করতে গিয়েছেন এটা কি কোন মানবতা এটা কোন সভ্যতা? এটা কোন ইসলাম? তাহলে এটা স্পষ্ট মাওলানা মামুনুল হক বিএনপি ও জামায়াতের ইন্দনে বহু অর্থের বিনিময় বাংলাদেশের আলেম সমাজের ভিতর ও মাদ্রাসার ছাত্রবৃন্দকে উস্কে দিয়ে আমাদের এই স্বাধীন বাংলাদেশকে আফগানিস্থান বানাবার জন্য ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি বলেন, ইতিহাস সাক্ষী মাওলানা মামুনুল হকের বাবা মাওলানা আজিজুল হক সাহেবের ভাই হাফেজ শামসুল হক মৎস্য ভবনের সামনে রমনা তেলের পাম্প হযরত শামসুল হক ফরিদপুরী রহমতউল্লাহর একটি ইসলামিক দল ছিল। সেই দলের নাম ছিল খাদেমুল ইসলাম পার্টি। এই পার্টির নামে তৎকালীন এক হাজী সাহেব তেলের পাম্প দান করেন। শাইখুল হাদিস আজিজুল হক সাহেবের ভাই হাফেজ শামসুল হক সাহেবকে ওই তেলের পাম্প টি হযরত শামসুল হক ফরিদপুরী রহমতুল্লাহি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য শায়খুল হাদিস আজিজুল হক সাহেবের ভাই হাফেজ শামসুল হককে দিয়েছিলেন যখন বাংলাদেশ স্বাধীন হয় তখন শায়খুল হাদিস আজিজুল হক সাহেব সহ তেলের পাম্প টি তাদের নামে নিয়ে নেন এটি ইতিহাস সাক্ষী মাওলানা মামুনুল হক শায়খুল হাদীস সাহেবকে বাড়িতে তিন দিন আটকে রেখে শায়খুল হাদিস আজিজুল হককে নির্যাতন করেছিলেন এটি বাংলার মানুষ ভুলে নাই।
তিনি আরো বলেন, মামুনুল হক সাহেব এতই যদি ইসলামের প্রতি আলেমদের প্রতি মাদ্রাসার ছাত্রদের প্রতি প্রেম ও ভালোবাসা থাকতো তাহা হইলে কোনদিনও বর্তমান দেশের প্রেক্ষাপটের উপরে মেয়ে নিয়ে আনন্দ করার জন্য সোনার গাঁয় রিসোর্টে হোটেলে যেতে পারতেন না। তাই আমার প্রিয় ওলামা এ কে রাম দের প্রতি আমার আহব্বান থাকবে আবেগ এবং বিবেক দুটি এক সমান নয় আমি সমস্ত মাদ্রাসার ছাত্রবন্ধু গনকে উদার্থ আহ্বান জানাব আপনারা আমার এই কথাগুলি বিবেক বিবেচনা করবেন। কেননা মানুষের বিবেক হল বড় আদালত।
জরুরি সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টি চেয়ারম্যান মাওলানা মোঃ ইসমাইল হোসাইন আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামিক পার্টির যুগ্ম মহাসচিব কাজী মাওলানা শাহ ওমর ফারুক ও বিশিষ্ট ইসলামিক চিন্তাবিদ মাওলানা মুফতি মোস্তফা চৌধুরী আরো উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নুল আবেদিন হাফেজ মাওলানা আব্দুল আজিজ প্রমুখ।