প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকে সময়ের প্রয়োজন অনুযায়ী সহযোগিতার সম্পর্ক বিস্তৃত করার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে আগামী দিনে কানেক্টিভিটি ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রের পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তি খাতে যৌথ সহযোগিতা বিস্তৃত করার বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে আলোচনা হয়েছে। এটি ছিল বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক একটি স্তর থেকে নতুন আরেকটি স্তরে উন্নীত করার বৈঠক।
দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক শেষে শনিবার প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বৈঠকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এ ছাড়া আটটি নতুন প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন, তিস্তা চুক্তি দ্রুত স্বাক্ষরে ভারত অঙ্গীকারবদ্ধ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সীমান্ত হত্যার বিষয়টিও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তুলে ধরেন এবং সীমান্ত হত্যা সমস্যার সমাধানে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন। এর জবাবে নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, সীমান্তে হাট তৈরি করা গেলে এ সমস্যার অনেকখানি সমাধান হবে।
ড. মোমেন বলেন, দু’দেশের মধ্যে যেসব অমীমাংসিত বিষয় রয়েছে, তার সবই দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। এ সফরের মধ্য দিয়ে দু’দেশের বন্ধুত্বের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়েছে। সেইসঙ্গে এ অঞ্চলের উন্নয়নে দু’দেশ একসঙ্গে কাজ করতেও অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শুধু তিস্তা নয়, ছয়টি যৌথ নদীর ন্যায্য হিস্যার বিষয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছে জোরালোভাবে উপস্থাপন করেছেন। জবাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিস্তা চুক্তিটি দ্রুত স্বাক্ষরে ভারত আন্তরিকভাবে অঙ্গীকারাবদ্ধ এবং প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের বিষয়ে আলোচনার কথা জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, আলোচনায় ভারতের প্রধানন্ত্রী জানিয়েছেন, ভারত মনে করে রোহিঙ্গাদের তাদের নিজের দেশ মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেওয়া উচিত।
ড. মোমেন বলেন, দু’দেশের মধ্যে যেসব অমীমাংসিত বিষয় রয়েছে তার সবগুলোই দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। এ সফরের মধ্য দিয়ে দু’দেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়েছে আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরে আসার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য।