প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেছেন সফররত ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছান লোটে শেরিং। তাঁকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে শেখ হাসিনার সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেন লোটে শেরিং। একান্ত বৈঠকের পর করেন দ্বিপক্ষীয় বৈঠক। বৈঠক শেষে পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন লোটে শেরিং।
সফরসূচি অনুযায়ী, আজ বিকেল আড়াইটায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ভিনসেন্ট চাংয়ের সঙ্গে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে। তারপর তিনি শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারির চিকিৎসক মো. মামুন খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
বিকেল ৪টায় ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গভবনে যাবেন। সেখানে তিনি রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। সেখানে তিনি পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করবেন।
বিকেল ৫টার দিকে লোটে শেরিং সম্মানিত অতিথি হিসেবে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে আয়োজিত ‘মুজিব চিরন্তন’ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। সেখানে তাঁকে অভ্যর্থনা জানাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেবেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গতকাল মঙ্গলবার সকালে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় আসেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী। ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিমানবন্দরে লোটে শেরিংকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। দেওয়া হয় গার্ড অব অনার।
পরে লোটে শেরিং সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে যান। স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানান তিনি। স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর তিনি ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে যান। সেখানে তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির জনক ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। পরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন। সেখানে রাখা পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উদ্যাপনে ১৭ মার্চ থেকে ১০ দিনব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠানমালা শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্য নির্দেশনা মেনে ২৬ মার্চ পর্যন্ত এই অনুষ্ঠান চলবে। অনুষ্ঠানের মূল থিম ‘মুজিব চিরন্তন’। তবে বিভিন্ন দিনের অনুষ্ঠানের পৃথক থিম থাকছে।
‘মুজিব চিরন্তন’ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে প্রথম বিশ্বনেতা হিসেবে ১৭ মার্চ ঢাকায় আসেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ। দ্বিতীয় বিশ্বনেতা হিসেবে ১৯ মার্চ ঢাকায় আসেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে। তৃতীয় বিশ্বনেতা হিসেবে ২২ মার্চ আসেন নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারি। গতকাল আসেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং। আর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২৬ মার্চ ঢাকায় আসবেন।