আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানমালা শেষে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় দলীয় শৃঙ্খলার বিষয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ’
সোমবার (২২ মার্চ) সকালে নওগাঁ জেলার পোরশা উপজেলার সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ সম্মেলনে যুক্ত হন।
কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনা দলীয় শৃঙ্খলার বিষয়ে অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে রয়েছেন। শৃঙ্খলা না মানলে যত বড় নেতা বা জনপ্রতিনিধি হোন না কেন, দল কাউকে ছাড় দেবে না। বক্তব্যে দলের শৃঙ্খলার বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। কারো ব্যক্তিগত অনিয়মের দায় দল বহন করবে না। ’
দলের কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে নিবেদিত প্রাণ ও ত্যাগী কর্মীদের মূল্যায়ন করার নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, ‘বিতর্কিত ব্যক্তি ও বসন্তের কোকিলদের দলে আনা যাবে না। দলের দুঃসময়ে তাদের কেউ পাশে থাকবে না। পক্ষান্তরে ত্যাগীরাই দল আঁকড়ে ধরে থাকবে। ’
এ সময় কেন্দ্র হতে তৃণমূল পর্যন্ত মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর কর্মসূচি পালনের জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান কাদের।
‘সাম্প্রদায়িক অপশক্তি আবারও মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে, আর তাদের উসকানি ও পৃষ্ঠপোষকতা করছে বিএনপি’, এমন মন্তব্য করেন করে কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, এ সব অপশক্তির বিরুদ্ধে ঐকবদ্ধ হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে হলে সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে প্রতিহত করতেই হবে। ’
দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার জন্য এবং ইউপি নির্বাচনে শৃঙ্খলা মেনে দলের মনোনীত প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান কাদের।
নওগাঁ জেলার পোরশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার রোকেয়া সুলতানা, কেন্দ্রীয় কার্যকরী সদস্য নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবদুল মালেক, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকার, ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন, আনোয়ার হোসেন হেলাল প্রমুখ।