ইসকনকে উগ্রবাদী সংগঠন বলে অভিযোগ করেছেন প্রবর্তক সংঘের নেতারা। গতকাল শনিবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক তিনকড়ি চক্রবর্তী বলেন, চট্টগ্রামে প্রবর্তক সংঘের ভূমি ব্যবহারের শর্ত ভঙ্গ করলে ইসকনের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা হবে।
তিনি বলেন, আধ্যাত্মিক পরিবেশ নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দির নির্মাণের জন্য ইসকনের সঙ্গে ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল চুক্তি হয়। যার ফলে বর্তমান মন্দিরটি মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। মন্দিরটি সাধুনিবাস ও সমাধি মিলিয়ে মোট ১৬ হাজার ৩৭৬ বর্গফুট অর্থাৎ ১৮ দশমিক ৯৫ গন্ডা পাহাড় শীর্ষে জায়গার ওপর নির্মিত।
তিনি বলেন, প্রবর্তকের ভূমির প্রাতিষ্ঠানিক এবং সামাজিক উন্নয়নে আরও বেশি গুরুত্ব দিয়ে সম্পদের সদ্ব্যবহার করার জন্য আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এজন্য কারো খেয়ালবশত এই সম্পত্তি ব্যবহারে আমরা অনুমতি দিতে পারি না।
ইসকনকে উগ্রবাদী সংগঠন উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত রবিবার ইসকন মন্দির থেকে দুষ্কৃতিকারীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রবর্তক সংঘের কর্মচারীদের ওপর হামলা চালায়। এতে আহত হয় আন্তত ১২ জন।
সাধুর ছদ্মবেশে একদল সন্ত্রাসী প্রবর্তক শ্রী শ্রী কৃষ্ণ মন্দিরে অবস্থান করছে জানিয়ে তিনি বলেন, ইসকনের পুরহিতদের কাজ পূজা, আর্চনা করা। কিন্তু ইসকনের সদস্যরা সংঘের ভূমি দখলসহ নানা অপতৎপরতায় লিপ্ত। ইসকনের স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করে ব্যর্থ হওয়ার পর তিন দফা চিঠি পাঠিয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের প্রস্তাব দেয়া হয়। গত এক মাস যাবৎ এই প্রয়াসে ব্যর্থ হয়ে পরিবেশগত সৌন্দর্য বৃদ্ধির প্রয়োজনে প্রবর্তকের জায়গায় নির্মিত ছোট নিরাপত্তা চৌকিটি সংস্কারের জন্য গত ১৪ মার্চ তিনজন শ্রমিক নিয়োজিত থাকাকালীন ইসকনের কয়েকজন এসে কাজে বাধা দেয়। এসময় হামলায় আহত হন প্রবর্তকের কর্মচারীরা।
এসময় অবিলম্বে দুষ্কৃতিকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান প্রবর্তক সংঘের নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, সংঘের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র লালা, সহ-সভাপতি প্রফেসর রনজিৎ কুমার দে, ট্রেজারার ডা. শ্রীপ্রকাশ বিশ্বাস, সদস্য অ্যাডভোকেট স্বভূ প্রসাদ দত্ত, ইন্দু নন্দন দত্ত, চন্দন ধর প্রমুখ।