‘তিস্তা চুক্তি নিয়ে আন্তরিক ভারত’

1409
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

তিস্তা চুক্তি নিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের আন্তরিকতার কোনো অভাব নেই বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে তথ্য মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তন বিষয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

প্রেস ব্রিফিয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, তথ্যসচিব খাজা মিয়া উপস্থিত ছিলেন।

তিস্তা চুক্তি নিয়ে সরকার ধূম্রজালে রেখেছে—বিএনপির এমন বক্তব্যের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে তো অনেক দূরে এগিয়েছি আমরা। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে এ ব্যাপারে অনেক দূর এগোনো হয়েছে। কিন্তু ভারতের সংবিধান অনুযায়ী রাজ্য সরকারের অনুমতি লাগে। যেহেতু এটি ভারতের একটি রাজ্য এবং বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে, এখানে অবশ্যই রাজ্য সরকারের অনুমোদন লাগে। তাই এখানে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের আন্তরিকতার কোনো অভাব নেই। তাদের যে একাগ্রতা, সেটি আছে।

তিনি বলেন, রাজ্য সরকারের অনুমোদন পেলে সেটি হবে। এটি তারাও (বিএনপি) বোঝে, বুঝেও না বোঝার ভান করে। এটি অপ্রাসঙ্গিক হলেও প্রসঙ্গ বানানোর চেষ্টা করছে। আসলে বিএনপি কোনো ইস্যু খুঁজে পাচ্ছে না বলে খড়কুটো ধরে চেষ্টা করছে, এছাড়া অন্য কিছুই নয়।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এজন্য সরকারকে বিএনপির একটি অভিনন্দন দেওয়া প্রয়োজন ছিল, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীকে। প্রধানমন্ত্রী মানবিক দিক বিবেচনা করে খালেদা জিয়াকে তার শাস্তি ছয় মাসের জন্য স্থগিত রেখেছেন, কিন্তু বিএনপি ধন্যবাদ দিতে ব্যর্থ হয়েছে। আসলে বিএনপি ধন্যবাদ দেওয়ার সংস্কৃতি লালন করে না। কাউকেই ধন্যবাদ দিতে পারে না।

ইউটিউব, ফেসবুক ও ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা ইউটিউব এবং ফেসবুককে ক্রমাগতভাবে বলে যাচ্ছি ট্যাক্স দেওয়ার জন্য। তারা প্রথমদিকে তো সবকিছুতেই প্রত্যাখ্যান করেছিল। এখন তারা একমত করে যে, তাদের ট্যাক্স দিতে হবে। এই বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের কমিটি কাজ করছে। তাদের সুপারিশ এলে তখন আমি বলতে পারব, আমরা কী করতে পারব। তবে এটি সত্য, অন্য দেশ থেকে পরিচালিত হয়ে আমাদের দেশে ব্যবসা করছে এবং অন্যের ব্যবসাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে, যিনি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তাকে কোনো লভ্যাংশের অংশ দেবে না, সেটি হওয়া অনুচিত।

ড. মাহমুদ বলেন, একটি নীতিমালার ভিত্তিতে যাতে এগুলো পরিচালিত হয় এবং একইসাথে তারা যে ব্যবসা করছে, সেখানে সে ব্যবসা করার জন্য ট্যাক্স দিচ্ছে না, সেটি যাতে ট্যাক্সের আওতায় আসে, সেজন্য সরকার কাজ করছে। বিশেষ করে আমাদের মন্ত্রণালয় কাজ করছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েক দফা মিটিং হয়েছে। আমরা খুব সহসাই এজন্য একটি নীতিমালা তৈরি করে সেটি স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করতে পারবো বলে আশা করছি। সহসাই আমরা এটি সম্পাদন করতে পারব। তারা যাতে ট্যাক্সের আওতায় আসে, সেটিও আমরা করছি।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশ সফরে আসছেন, সেখানে সীমান্ত হত্যা নিয়ে কোনো আলোচনা থাকবে কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সীমান্ত হত্যা নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। ইতোমধ্যে সীমান্ত হত্যা অনেক কমেও গেছে। আগে যে সীমান্ত হত্যা হতো, সেটি এখন অনেক কমে গেছে। তবে আমরা চাই সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় আসুক। এটি নিয়ে সবসময় দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে আলোচনা হচ্ছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পর্যায়েও আলোচনা হচ্ছে।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন