করোনার ‘ব্রাজিলিয়ান ধরন’ প্রতিরোধে সক্ষম ফাইজারের টিকা

1396
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

ব্রাজিলে পি১ নামে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া নতুন ধরনের করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সক্ষম ফাইজার ও বায়োএনটেক উদ্ভাবিত টিকা। সোমবার (৮ মার্চ) নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর : ডেইলি মেইল।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রাজিলে নতুন ধরনের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত টিকা নেয়া ব্যক্তিদের রক্ত পরীক্ষা করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে জানা গেছে, এই করোনা প্রতিরোধে ফাইজারের টিকা সক্ষম।

ফাইজার ও বায়োএনকেটের বিজ্ঞানী এবং ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস মেডিকেল ব্রাঞ্চ বলছে, ব্রাজিলের নতুন ধরনের করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ফাইজারের টিকার সক্ষমতা আগের ভাইরাস প্রতিরোধের মতোই।

এর আগে প্রকাশিত বিভিন্ন গবেষণা প্রতিবেদনে ফাইজার জানায়, যুক্তরাজ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া নতুন ধরনের করোনাভাইরাস রোধে ফাইজারের টিকা কার্যকর ছিল। যদিও দক্ষিণ আফ্রিকান ধরনের করোনাভাইরাস প্রতিরক্ষামূলক অ্যান্টিবডি কমাতে পারে। ফাইজারের বর্তমান টিকা দক্ষিণ আফ্রিকার নতুন ধরনের করোনা প্রতিরোধে সক্ষম।

এদিকে এর আগে ব্রাজিলে পি১ নামে করোনাভাইরাসের নতুন যে ধরন পাওয়া গেছে তার বিরুদ্ধে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ভ্যাকসিন কার্যকর বলে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত একটি গবেষণার প্রাথমিক তথ্যে জানানো হয়।

অক্সফোর্ডের গবেষণায় দেখা যায়, ধরনটির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তৈরি করতে ভ্যাকসিনে পরিবর্তন আনার দরকার নেই। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সূত্র রয়টার্সকে এ তথ্য জানায়।

এর আগে গবেষণায় দেখা গেছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া করোনার নতুন ধরনের বিরুদ্ধে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা কম। সেখানকার ধরনটির সঙ্গে ব্রাজিলের পি১ ধরনের মিল রয়েছে। কার্যকারিতা কম থাকায় দক্ষিণ আফ্রিকা অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন প্রয়োগ স্থগিত ঘোষণা করেছে।

ব্রাজিলের আমাজন বন সংলগ্ন শহর মানাউস থেকে ভাইরাসের নতুন ধরনটি ছড়িয়েছে বলে ধারণা করা হয়। এদিকে সম্প্রতি ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। অনেক দিন ধরে চলা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে বর্তমানে সবচেয়ে খারাপ সময় পার করছে দেশটি। এর ফলে সেখানকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা তীব্র সঙ্কটের মুখে পড়েছে।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন