সরকারের বিদায় ঘন্টা বাজছে : রিজভী

1234
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

নিজস্ব প্রতেিবদক: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আমাদের ইতিহাস বলছে এই দেশের মানুষ কখনোই স্বৈরশাসক গ্রহণ করেনি। স্বৈরশাসকের পতন চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে এসেছে। হাসিনা আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। তার সরকারের পতনের সাইরেন বাজছে। কারণ তিনি যেভাবে অত্যাচার-নিপীড়ন এবং বিরোধী শক্তি এবং মতকে ধ্বংস করতে উদ্যত হয়েছেন এর কারণটাই হচ্ছে তার পায়ের নিচে মাটি নেই। সেজন্য তিনি এখন অন্ধ রাষ্ট্রশক্তিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে দমিয়ে রেখে ক্ষমতায় থাকতে চাচ্ছেন। তিনি পারবেন না। তার বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে। এখন তার পতনের জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।

শুক্রবার জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও তার আত্মার মাগফেরাত কামনা শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।

রিজভী বলেন, আজকে আমরা একটি সংকটকাল অতিক্রম করছি। তাই নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ যারা বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ বিশ্বাস করে তারা সবাই আজকে একত্রিত হয়েছে। জাতীয়তাবাদী শক্তির ঐক্যের প্রতীক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আজকের এই কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিবাদের ভয়ঙ্কর রূপে আত্মপ্রকাশ করার এই সরকার নানাভাবে জুলুম-নির্যাতন করছে জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রতি। বেগম খালেদা জিয়া বন্দী, তার পরেও তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে উপর্যপ্ত করার জন্য নানাভাবে নানান পন্থা অবলম্বন করছেন প্রধানমন্ত্রী। সে কারণে সারা দেশের মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে তারা বিক্ষুব্ধ।’

তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে আজ একটি মানববন্ধনের আয়োজন করেছিল স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা। সেখানে মনে হয়েছে জিনজিরা এলাকায় হরতাল চলছে। পুলিশ এমন অবস্থান নিয়েছেন যারা মানববন্ধন করতে চেয়ে ছিলেন তাদেরকে দাঁড়াতে দেওয়া হয়নি। সেখান থেকে কিছু দূরেই আওয়ামী লীগের অফিস, সেখানে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সশস্ত্র অবস্থান নিয়েছেন। যাতে বিএনপি নেতাকর্মীরা মানববন্ধন করতে না পারে। একদিকে পুলিশের রাইফেল অন্যদিকে আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা।
জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, সদস্য সচিব মুজিবুর রহমান, মৎসজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, তাঁতীদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনি প্রমুখ।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন