করোনাভাইরাসের টিকা নিতে নিবন্ধন করেও এসএমএস না পেয়ে উৎকণ্ঠায় রয়েছেন, তাদের আশ্বস্ত করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, ‘করোনাভাইরাসের টিকা নিতে নিবন্ধন করেছেন, এমন সবাই মোবাইলে এসএমএস পাবেন।’
এ মাসের প্রথম সপ্তাহে সরকার দেশে কোভিড-১৯ টিকা বিনামূল্যে প্রয়োগ শুরুর পর নিবন্ধিত হলে এসএমএস না পেলেও কেন্দ্রে গিয়ে টিকা দেওয়া যাচ্ছিল। কিন্তু ভিড় বেড়ে যাওয়ায় পর কেন্দ্রে নিবন্ধন বন্ধ করে দেওয়ার পাশাপাশি এসএমএস পাওয়ার আগে টিকা দেওয়াও বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে নিবন্ধন করেও এসএমএস না পেয়ে অনেকে উৎকণ্ঠায় পড়েছেন।
আজ বুধবার ঢাকা ডেন্টাল কলেজে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিটি টিকাদান কেন্দ্রের দৈনিক টিকাদান করার একটি সক্ষমতা ঠিক করা আছে। কিন্তু প্রতিদিন নিবন্ধন হচ্ছে এর চেয়ে অনেক বেশি। ফলে অনেকের মোবাইলে টিকা দেওয়ার দিন তারিখ জানিয়ে এসএমএস যেতে দেরি হচ্ছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যখন শুরু করলাম, তখন নিবন্ধনের সংখ্যা কম ছিল। যারা টিকা নিতে আসতে, এমন মানুষের সংখ্যাও কম ছিল। এখন নিবন্ধন অনেক হয়ে গেছে। যেখানে প্রতিদিন ১ হাজার জনকে টিকা দেওয়ার ক্ষমতা আছে, সেখানে প্রতিদিন ৩ হাজার জনের নিবন্ধন হয়, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা দেরি হবে। এ কারণে সময় নিয়ে তারিখ দিচ্ছে। যারা এসএমএস পায় নাই এখনও তারাও এসএমএস পেয়ে যাবে।’
‘টিকা নেওয়ার নিবন্ধনের জন্য বয়সসীমা আপাতত ৪০ বছরই থাকবে। প্রথমে বয়সসীমা ৫৫ বছর করা হয়েছিল। কিন্তু নিবন্ধন করতে আগ্রহী মানুষের সংখ্যা কম থাকায় বয়সসীমা ৪০ বছর করা হয়েছিল। আমরা এটা ৪০ থেকে বাড়িয়ে দেব না। কিন্তু কমিয়েও দেওয়া হবে না’, যোগ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।