অনলাইন গণমাধ্যম ‘ঢাকাপোস্ট.কম’-এর স্বপ্নযাত্রা শুরু হলো। ভাষার মাসে গণমাধ্যমের আকাশে যোগ হলো নতুন পালক। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর বছরে এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষের উদ্বেলিত সময়ে এ যাত্রা শুরু হলো। জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সোয়া ৪টায় ঢাকা পোস্টের নবযাত্রার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
ভাষার মাসে উদ্বোধন, তাই ঢাকা পোস্ট পরিবার ভাষা শহীদদের অতল শ্রদ্ধায় স্মরণ করে। অগণিত পাঠক, দর্শক-শ্রোতাকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকা পোস্ট পরিবার আগেই প্রস্তুতি নেয় যাত্রা শুরুর। দেশের ৬৪ জেলায়, বিভিন্ন উপজেলায় সকাল থেকে শুরু হয় আনুষ্ঠানিকতা। ‘সত্যের সাথে সন্ধি’- স্লোগান সামনে রেখে নতুন বছরে লক্ষ্যজয়ের জন্য যাত্রা শুরু করল ‘ঢাকাপোস্ট.কম’। যাত্রার শুরুতে ঢাকা পোস্টকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদসহ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, দেশের বিভিন্ন অঙ্গনের বিশিষ্টজনেরা।
সারাদেশে ঢাকাপোস্ট.কম-কে ঘিরে অগণিত পাঠক, দর্শক, শ্রোতার প্রবল আগ্রহ পূর্ণমাত্রায়। তাদের বহু প্রত্যাশা পূরণ হলো নতুন এই অনলাইন উদ্বোধনের মাধ্যমে। উদ্বোধন করতে গিয়ে জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে ঢাকা পোস্ট গণমাধ্যমের আস্থা অর্জন করবে। তিনি বলেন, কোভিড-১৯ এর মতো কঠিন সময়ে এ ধরনের একটি উদ্যোগ নেওয়ার জন্য ইউএস-বাংলা গ্রুপকে অভিনন্দন জানাই। এ উদ্যোগের মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে অনেকেই উপকৃত হবেন এবং ব্যাপক কর্মসংস্থান তৈরি হবে। সমগ্র বিশ্বের প্রেক্ষাপটে আমরা যদি বাংলাদেশের পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করি, তথ্যপ্রযুক্তি এখন সুবর্ণ যুগ পার করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশের সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন আমরা দেখতে পাচ্ছি।
শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়ার ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে। অনেক ক্ষেত্রে প্রিন্ট মিডিয়াকে তারা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশেও অনলাইন মিডিয়ার ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। কারণ অনলাইনে মিডিয়ার খবর তাৎক্ষণিক প্রচার হওয়ায় সবাই তা পড়তে পারছেন এবং যেকোনো সময় যুক্ত হতে পারছেন। ‘সবার জীবনের ব্যস্ততা বেড়েছে, এ ব্যস্ততার মধ্যে সবাইকে অনলাইনে যুক্ত রাখার একটি মাধ্যম নিউজ পোর্টাল। অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলো যখন মানুষের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হচ্ছে, ঠিক তখন ঢাকা পোস্ট নতুন যাত্রা শুরু করছে। আমি আশা করব, পোর্টালটি বস্তুনিষ্ঠ তথ্য সরবরাহের মাধ্যমে মানুষের আস্থার জায়গাটি তৈরি করে নেবে।’
সেক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় গুরুত্বে সঙ্গে বিবেচনায় নিতে হবে উল্লেখ করে স্পিকার আরও বলেন, ‘স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রাধান্য দিতে হবে। এখন অনেক ধরনের মিথ্যা সংবাদ, গুজব, অপপ্রচার হচ্ছে। কাজেই সেগুলো থেকে মুক্ত হয়ে সংবাদ পরিবেশনের বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।’ স্পিকার বলেন, গণমাধ্যমে প্রচারিত বিষয় পড়ে অনেক ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকে অনেক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়। কাজেই সাধারণ মানুষ যাতে ভুল তথ্য না পায় সেজন্য সবাইকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে হবে।
‘বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এখন আমরা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ সময় পার করছি। মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে নিউজ পরিবেশন করবেন। স্বাধীনতার পর দেশের যে ব্যাপক অর্জন ও সফলতা, ঢাকা পোস্টের সংবাদে সেগুলো প্রকাশ করবেন। আমি আশা করব, ঢাকা পোস্ট অত্যন্ত সফলভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। ঢাকা পোস্টের সঙ্গে যুক্ত সবাইকে অভিনন্দন জানাই।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্পিকারের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন টিভি টুডের এডিটর ইন চিফ মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, ঢাকা পোস্ট সম্পাদক মহিউদ্দিন সরকার, ইউএস বাংলা গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) লে. জেনারেল (অব.) মো. মইনুল ইসলাম ও ইউএস-বাংলা গ্রুপের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার (অব.) শামস।