চতুর্থ দফায় নোয়াখালীর ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন হাজারো রোহিঙ্গা। আজ সোমবার সকালে চট্টগ্রাম বোট ক্লাব থেকে নৌবাহিনীর জাহাজে করে ২ হাজার ১০ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা দেন।
নৌবাহিনীর পাঁচটি জাহাজে এই রোহিঙ্গারা ভাসানচরে যাচ্ছেন।
ভাসানচরে যাওয়ার জন্য আজ সকাল ৬টা থেকে রোহিঙ্গারা নৌবাহিনীর জাহাজে উঠতে শুরু করেন।
সকাল ১০টার আগেই রোহিঙ্গারা জাহাজে উঠে পড়েন। শেষ হয় সব প্রস্তুতি। সকাল ১০টার দিকে নৌবাহিনীর জাহাজগুলো ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা দেয়।
আবদুর রহিম নামের এক রোহিঙ্গা বলেন, তাঁর ছয় সদস্যের পরিবার ভাসানচরে যাচ্ছে। কক্সবাজারের শিবিরে তাঁরা কষ্টে দিন কাটাচ্ছিলেন। যাঁরা ইতিমধ্যে ভাসানচরে গেছেন, তাঁদের কাছ থেকে সেখানকার পরিবেশ সম্পর্কে জেনেছেন তিনি। ভালো থাকার জন্য নিজেদের ইচ্ছায় তাঁরা ভাসানচরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তরের উদ্দেশ্যে গতকাল রোববারই কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম পৌঁছান এই রোহিঙ্গারা।
গতকাল দুপুর সোয়া ১২টার দিকে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে প্রথম দফায় ২২টি গাড়িতে ১ হাজার ১৫২ জনকে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়।
বেলা সোয়া তিনটায় দ্বিতীয় দফায় ১৭টি গাড়িতে চট্টগ্রাম পাঠানো হয় আরও ৮৬২ জনকে।
আজ আরও দেড় হাজার জনকে চট্টগ্রামে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) কার্যালয় সূত্র জানায়, এর আগে তিন দফায় কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে ৬ হাজার ৬৮৮ জনকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়।
২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় স্থানান্তর করা হয় ১ হাজার ৬৪২ জনকে। ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় ১ হাজার ৮০৪ জনকে স্থানান্তর করা হয়। আর চলতি বছরের ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় দফায় স্থানান্তর করা হয় ৩ হাজার ২৪২ জনকে।
ভাসানচরের আশ্রয়শিবিরে মোট এক লাখ রোহিঙ্গাকে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা আছে সরকারের।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতা শুরু হলে পরের কয়েক মাসে অন্তত আট লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। এর আগে আসেন আরও কয়েক লাখ।
বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয়শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা সাড়ে ১১ লাখ।