পৌর চতুর্থ ধাপ: সংঘর্ষ বর্জন আর সহিংসতার ভোট

1342
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

মো. শফিকুল ইসলাম: ক্ষমতাসীনদের দাপট, ব্যালট ছিনতাই, প্রকাশ্যে সিল মারা ও বর্জনের মধ্য দিয়ে চতুর্থ ধাপে ৫৫ পৌরসভায় ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। অনেক পৌরসভায় গোলাগুলি, বোমা বিস্ফোরণ, সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ব্যালট পেপার ছিনতাই হয়েছে। এ ছাড়া প্রকাশ্যে সিল মারা, জাল ভোট, ভোটার ও এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বেশ কিছু পৌরসভায়। গতকাল বোরবার সকাল ৮টায় এসব পৌরসভায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা চলে। এ ধাপে অর্ধেক পৌরসভায় ইভিএম ও অর্ধেকে ব্যালট পেপারে ভোট হয়েছে।

এদিকে চট্টগ্রামের পটিয়ায় গুলিতে ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীর বড় ভাই আবদুল মাবুদ নিহত হয়েছে। আরেক ১ কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুল খালেককে অপহরনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। কয়েকটি কেন্দ্রে হাতবোমা বিস্ফোরণও ঘটে। নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে কাউন্সিলর সমর্থকদের সংঘর্ষে গুলির ঘটনায় তিন জন আহত হয়েছে। টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে হরিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে চারজন আহত হয়েছে। লালমনিরহাটে ভোটকেন্দ্রে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, চাদপুরে কেন্দ্র দখল নিয়ে কাউন্সিলর প্রার্থীদের কর্মী সর্মথকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়ায় বেশিরভাগ ইভিএম বাইরে রেখে ভোট হয়েছে। পৌরসভা ভোটে গোলযোগ-অভিযোগ থাকলেও নির্বাচন কমিশন বলে আসছে, ভোটার উপস্থিতির মধ্যে দু-একটি ঘটনা ছাড়া ভালো নির্বাচন হচ্ছে।

পৌরসভা নির্বাচনের প্রথম তিন ধাপে গোলযোগ-সংঘর্ষ হওয়ায় চর্তুথ ধাপে বিশেষ সতর্কতা নেওয়ার কথা জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তবে তাতেও সহিংসতা বন্ধ হয়নি। ভোট কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে ঠাকুরগাও সদর, বাগেরহাট সদর, বরিশালের বানিয়াপাড়া, মুন্সিগঞ্জের মিরকাদিম, নাটারের বড়াইগ্রাম, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা ও জীবননগর, কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ, লক্ষীপুর রামগতিতে ধানের শীষের প্রার্থীরা ভোট বর্জন করেছেন। এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী, বরিশালের বানিয়াপাড়া সতন্ত্র প্রার্থী ও লক্ষীপুরের রামগতিতে জাপার প্রার্থী ভোট বর্জন করেছে।

ইসি জানিয়েছে, চতুর্থ ধাপে নির্বাচনের জন্য ৫৬টি পৌরসভায় নির্বাচনের তফসিল দেওয়া হলেও পরে সোনাইমুড়ি ও ত্রিশাল পৌরসভা এ ধাপে যুক্ত হয়েছে। অন্যদিকে হাইকোর্টের আদেশে নাটোর পৌরসভার নির্বাচন স্থগিত করা হয়। এছাড়া ফেনীর পরশুরাম পৌরসভায় মেয়র, সংরক্ষিত ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় এ পৌরসভায় ভোটের প্রয়োজন হয়নি। জয়পুরহাটের কালাই পৌরসভা নির্বাচন কার্যক্রম বন্ধের পর ফের তা চালু হয়। এছাড়া সহিংস ঘটনায় মাদারীপুরের কালকিনি পৌরসভার ভোট স্থগিত করে ইসি। ফলে গতকাল ৫৫ পৌরসভায় ভোট গ্রহণ হয়েছে।
আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য-

পটিয়া: চট্টগ্রামের পটিয়া পৌর নির্বাচনে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে গোলাগুলি হয়েছে। এতে কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুল মান্নানের বড় ভাই আবদুল মাবুদ নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো কয়েকজন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল থেকে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে দুপুর নাগাদ তা গোলাগুলিতে রূপ নেয়। আবদুল মাবুদ মারা গেলে বিক্ষুব্ধ কর্মীরা পটিয়া আনসার ভিডিপি ক্যাম্পে অগ্নিসংযোগ করে। পরে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীকে কেন্দ্র থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়ে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রেনে আসে।

নোয়াখালী: নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী পৌরসভা নির্বাচনে কাউন্সিলর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে গুলিবিদ্ধসহ তিন জনকে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন- সোনাইমুড়ী উপজেলার বাহারকুট গ্রামের আবদুল হকের ছেলে মোহন (১৮), আমিরাবাদ এলাকার আবুল হাসেমের ছেলে সালাউদ্দিন (২৭), উলুপাড়া এলাকার স্বপনের ছেলে মনির (২২)।
স্থানীয়রা জানায়, ভোটকেন্দ্রের বাইরে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকরা সহিংসতা হয়। এসয় ককটেল বিস্ফোরণ করে ভোটারদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। গুলিবর্ষণ করলে মোহন নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছে।

ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁওয়ে পৌরসভা নির্বাচনে ভোট শেষ হওয়ার আগেই ভোট বর্জন করেছে জেলা বিএনপির মেয়র প্রার্থী সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন। তিনি বলেন, ভোটের আগের রাতে থেকেই পৌরসভার প্রায় সব ভোটকেন্দ্র দখল করে আওয়ামী লীগের লোকজন। বোমা ফাটিয়ে এসব কেন্দ্র দখল করে। ২১টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৯টি কেন্দ্র থেকেই ধানের শীষের এজেন্টদের বের করে হয়েছে। সকাল থেকেই ধানের শীষের পোলিং এজেন্ট, সর্মথক ও ভোটাদের কেন্দ্র যেতে বাধা দিয়েছে তারা। সাধারণ ভোটাদের জোরপূর্বক নৌকায় ভোট দিতে বাধ্য করেছে।

লালমনিরহাট: লালমনিরহাটে ভোটকেন্দ্রে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ছয়জন আহত হয়েছে। আহতরা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কোষাধ্যাক্ষ হাবিবুর রহমান হাবিব, সুফি তাহেরুল ইসলাম, আব্দুল জলিলসহ মোট ছয় জন।
সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম জানায়, পৌরসভার ভোটগ্রহণ শুরু হলে দক্ষিণ বত্রিশ হাজারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গিয়াস উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়, রেলওয়ে চিল্ড্রেন পার্ক শিশু স্কুল, সাপ্টানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটলেও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শফিকুল ইসলাম খান নির্বাচন বর্জন করেছেন। তিনি বলেন, ঘণ্টা দুয়েক থাকার পর সব কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। নৌকার লোকজন ভোটারদের জোর করে নৌকায় ভোট দিতে বাধ্য করছে। ফিঙ্গার দেওয়ার পরে নিজেরাই নৌকায় ভোট দিয়েছে। নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থীর লোকজন বেশিরভাগ ইভিএম মেশিন গোপন কক্ষের বাইরে রেখে প্রকাশ্যে ভোট দিয়েছেন।

বরিশাল: বরিশালের বানারীপাড়া পৌরসভায় নির্বাচনে ভোট কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগে বিএনপি মেয়র প্রার্থী মো. রিয়াজ আহম্মেদ মৃধা ও আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. জিয়াউল হক মিন্টু ভোট বর্জন করেছেন। তারা বলেন, ভোট শুরু হওয়ার পরই সব কেন্দ্রে থেকে পোলিং এজেন্টদের ভয়ভীতি ও মারধর করে বের করে দেয়া হয়েছে। কেন্দ্রের ভেতরে ঢুকে দেখতে পাই নৌকার নেতাকর্মীরা মেয়রের ব্যালট ভোটারদের হাত থেকে নিয়ে নৌকায় সিল মারছেন। পৌরসভায় ভোটার সংখ্যা ৯ হাজার ১২৭ জন। তবে কেন্দ্র দখল নিতে ১০ হাজারেরও বেশি বহিরাগতদের নিয়ে আসা হয়েছে। সকাল থেকেই এজেন্ট ও ভোটারদের হুমকি-ধামকি দিয়েছে তারা। ভোটাররা কেন্দ্রে গিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারছেন না।

রাজশাহী: রাজশাহীর চারঘাট পৌরসভার নির্বাচনে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণে আওয়ামী লীগের ছয় নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এ ঘটনায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রায়হানুল হক রানা বাদী হয়ে বিএনপির মেয়র প্রার্থী সহ ১০১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে জেলা যুবদলের যুগ্ম-সম্পাদক জিল্লুর রহমান বিপ্লবকে। এছাড়া রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ এবং বর্তমান মেয়র ও বিএনপির মনোনীত পৌর মেয়র প্রার্থী জাকিরুল বিকুল সহ ১০১ জন। ।

টাঙ্গাইল: কালিহাতী পৌরসভায় ভোট চলাকালে হরিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ৪ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহতরা হলেন- কালিহাতী উপজেলার বীরবাসিন্দা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জামাল হোসেন (৩৮) ও পৌরসভার চামুরিয়া গ্রামের বিএনপি কর্মী মো. ইদ্রিস আলী (৪৫)। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুই দলের নেতাকর্মীরা প্রথমে তর্কবিতর্ক ও পরে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়।

বাগেরহাট: বাগেরহাটে ভোট বর্জন করেছে বিএনপির মেয়র প্রার্থী সাইদ নিয়াজ হোসেন শৈবাল। তিনি বলেন, বিভিন্ন কেন্দ্রে নৌকার এজেন্টরা ভোট প্রদানের গোপন কক্ষে ভোটারদের সাথে প্রবেশ করে প্রেসবাটন চেপে নৌকার ভোট নিশ্চিত করছে। এছাড়া আমার পরিবারসহ নিকট আত্মীয় স্বজনরা ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হয়নি। এটা কোনো ভোটের পরিবেশ হতে পারে না।

মুন্সিগঞ্জ: মুন্সিগঞ্জের মিরকাদিম পৌর নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে ভোট বর্জন করেছেন বিএনপি প্রার্থী মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, প্রতিটি কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেয়া হয়েছে। জোরপূর্বক নৌকা প্রতীকে সিল মারা হয়েছে। ভোটে অনিয়ম অভিযোগ করেও কোর প্রতিকার পায়নি। এমনকি নিজ স্ত্রী ভোট দিতে গেলে তাকেও জোরপূর্বক নৌকায় ভোট দিতে বাধ্য করা হয়েছে।

চাঁদপুর: ফরিদগঞ্জে কাছিয়াড়া মহিলা আলিয়া মাদরাসা কেন্দ্র দখল নিয়ে সংঘর্ষে ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী আলী হায়দার পাঠানসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। এসময় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ককটেল বিস্ফোরণও হয়েছে। এদিকে বিএনপির ধানের শীষের প্রার্থী ইমাম হোসেন পাটওয়ারী ভোট বর্জন করেছে। তিনি বলেন, নৌকা প্রতীকের একজন এএসপি পদে রয়েছে। তিনি যখন ভোটকেন্দ্রে গিয়ে পরিচয় দেন তখন ওনাকে স্যালুট দিচ্ছে এবং উনি নিজে ব্যালট পেপার নিয়ে সিল মারছে। আমাদের ধানের শীষের কোনো ব্যালট নেই। নির্বাচনের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা বলেছে আমাদের কিছুই করার নেই।

নাটার: ভোট ডাকাতির অভিযোগ বড়াইগ্রামে বিএনপি প্রার্থী ইসাহাক আলী ভোট বর্জন করেছেন। তিনি বলেন, ভোটের আগে থেকেই নেতাকর্মীদের মারপিট ও বাড়িঘরে হামলা করেছে। ভোটগ্রহণের সময় বহিরাগত সন্ত্রাসী এনে ভোটকেন্দ্র দখল করা হয়েছে। ৮০ ভাগ মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। জোর করে প্রকাশ্যে নৌকায় সিল মারতে বাধ্য করা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা বিএনপি মেয়র প্রার্থী মীর মহি উদ্দিন ও জীবননগর প্রার্থী মো. শাহাজাহান কবির
নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগে নির্বাচন বর্জন করেছেন। তারা বলেন, সকাল থেকে প্রতিটি কেন্দ্রেই এজেন্ট ছিল কিন্তু ১২টার পর এজেন্টদের বের করে দেয় নৌকার কর্মী-সমর্থকরা। এমনকি অমার পরিবারের সদস্যদেরও ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। প্রশাসন বারবার নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু ভোট শুরু হওয়ার চিত্র পাল্টে যায়। আওয়ামী লীগ ও প্রশাসন পরস্পরের সহযোগিতায় প্রহসনের নির্বাচনের আয়োজন করেছে।

এদিকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হাসান কাদির গনু বলেন, আলমডাঙ্গায় সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলা ছিল না। বিএনপির প্রার্থী মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। আসলে জনগণই তাকে বর্জন করেছে।

কিশোরগঞ্জ: অনিয়মের অভিযোগে নির্বাচন বর্জন করেছেন বাজিতপুর পৌরসভার বিএনপি প্রার্থী এহসান কুফিয়া। তিনি বলেন, সব কেন্দ্রে বিএনপির এজেন্টদের বের করে দিয়ে ফিঙ্গার প্রিন্ট নেয়ার পর আওয়ামী লীগের লোকজন নৌকায় ভোট দিয়ে দিয়েছে। ভোটারদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। তাই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো ছাড়া কোনো বিকল্প পথ নেই।

লক্ষ্মীপুর: রামগতি পৌরসভায় নৌকায় ভোট দেয়া বাধ্যতামূলক, এজেন্টদের মারধর ও কেন্দ্রে ঢুকতে না দেয়ার অভিযোগে ধানের শীষের প্রার্থী সাহেদ আলী পটু ও লাঙলের প্রার্থী আলমগীর হোসেন ভোট বর্জন করেছে। এবিষয়ে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আলমগীর হোসেন বলেন, আমার এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হয়নি। মারধর করা হয়েছে। নৌকায় ভোট দিতে আওয়ামী লীগের নেতারা ভোটারদের বাধ্য করছে। এ নির্বাচনে থাকার প্রয়োজন নেই। তাই ভোট বর্জন করেছি। এদিকে বিএনপির প্রার্থী সাহেদ আলী বলেন, ইভিএম আওয়ামী লীগ নেতাদের দখলে। তারা ভোটারদের নৌকায় ভোট দিতে বাধ্য করছেন। প্রিসাইডিং ও সহকারী প্রিসাইডিং অফিসাররা না দেখার ভান করছেন। আমি এজন্য ভোট বর্জন করেছি।

ময়মনসিংহ: কেন্দ্রে ঢুকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপরাধে ত্রিশালের দুখুমিয়া বিদ্যানিকেতন কেন্দ্র থেকে মো. উসমান গনি কুদ্দুস কাউন্সিল প্রার্থীকে আটক করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আটক উসমান গনি ১নং ওয়ার্ডে ডালিম প্রতীক নিয়ে কাউন্সিলর পদে লড়েছেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা বলেন, কেন্দ্রে ঢুকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করায় তাকে আটক করা হয়েছে। আটকের পর মুচলেখা রেখে কাউন্সিলর প্রার্থীকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন