ভুল শুধরে আগামীর নবতর পথযাত্রায় এগিয়ে যেতে নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, দলের ঐক্যে ফাটল ধরাতে ষড়যন্ত্র চলছে।
আজ সোমবার সকালে রাজধানীর রাসেল স্কয়ারে গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে দলকে আরও ঐক্যবদ্ধ করার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের ঢাকা মহানগরের নেতাদের উদ্দেশে বলেন, আওয়ামী লীগের ইঞ্জিন হচ্ছে ঢাকা মহানগর। এই ইঞ্জিনকে সচল রেখে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে হবে। ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের তৃণমূল থেকে থানা পর্যায়ের সব কমিটি সম্মেলনের মাধ্যমে করার নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, ঘরে বসে কোনো কমিটি করা যাবে না।
১৫ ফেব্রুয়ারি ভোট ডাকাতির নির্বাচন করে বিএনপি এখন গণতন্ত্রের ফেরিওয়ালা সেজেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ’৯৬ সালের এই দিনে ভোটারবিহীন নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন প্রহসন। প্রহসনের সেই নির্বাচন দেশের নির্বাচনী ইতিহাসের কলঙ্কিত অধ্যায় হয়ে থাকবে।
১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার গঠন করার পর থেকেই সমস্ত নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় জনগণের কাছে দেওয়া ওয়াদা ভাঙতে শুরু করে বলে জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, শত শহীদের রক্তের অক্ষরে লেখা তিন জোটের রূপরেখা বাস্তবায়নে কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে বিএনপি শহীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করে।
বিএনপি দিনের আলোয় রাতের আঁধার দেখতে পায়, তাই তারা সরকারের কোনো উন্নয়ন ও অর্জন দেখতে পায় না বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই ছিল জনগণের কাছে আওয়ামী লীগের অঙ্গীকার। আর সেই লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।