প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে টিকা নিয়েছেন। তিনি দেশের সব ভোটারকে নিজ নিজ এলাকা থেকে টিকা নিতে আবেদন জানিয়েছেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) সিইসি টিকা নেন। আধা ঘণ্টা পর দুপুর ১২টায় তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
অনেকে মনে করেন, নির্বাচনব্যবস্থায় টিকা দরকার। এ ব্যাপারে মন্তব্য জানতে চেয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সিইসি বলেন, এ কথা বলার সময় এখন না।
বিএসএমএমইউতে সকাল নয়টা থেকে টিকাদান শুরু হয়। আটটি বুথে এখানে টিকা দেওয়া হচ্ছে।
টিকাদান কর্মসূচির প্রথম দিনে গতকাল রোববার রাজধানীর ৪৭টি হাসপাতালসহ সারা দেশে প্রায় এক হাজার হাসপাতালে টিকা দেওয়ার কথা ছিল। তবে নির্ধারিত সব কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হয়নি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে গতকাল টিকা পেয়েছেন ৩১ হাজার ১৬০ জন, এর মধ্যে ঢাকা মহানগরে ৫ হাজার ৭১ জন। দেশে তিন লাখের বেশি মানুষকে টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি ছিল। গতকাল যাঁরা টিকা নিয়েছেন, তাঁদের দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিতে হবে ৮ মার্চ।
রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি গতকাল টিকা নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন প্রধান বিচারপতিসহ অর্ধশতাধিক বিচারপতি, অন্তত ১০ জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, বেশ কয়েকজন সাংসদ ও সচিব, অধিকাংশ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, রাজনৈতিক নেতাসহ প্রায় সাত হাজার চিকিৎসক।
দেশে করোনা সংক্রমণের ১১ মাস পূর্ণ হচ্ছে আজ। সংক্রমণ যখন কমে আসছে, সে সময়ে এই টিকাদান কর্মসূচি শুরু হলো। এ বছরের ২৭ জানুয়ারি করোনার টিকা কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই দিন ২১ জনকে টিকা দেওয়া হয়। পরদিন রাজধানীর পাঁচটি হাসপাতালে ৫৪৬ জনকে পর্যবেক্ষণমূলক টিকা দেওয়া হয়েছিল। টিকা নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে এখনো তেমন কোনো বড় ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। গতকাল টিকা নেওয়া ২১ জনের মধ্যে সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।