থালাবাসন বাজিয়ে সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে মিয়ানমারে প্রতিবাদ

1275
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে প্রথমবারের মতো বড় আকারে প্রতিবাদ হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে ইয়াঙ্গুনের বাসিন্দারা বিক্ষোভ করেছেন।

মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত মিয়ানমারের পরিস্থিতি ছিল শান্ত। প্রধান শহরগুলোতে টহল দিয়েছে সেনাবাহিনী। তবে রাতে ইয়াঙ্গুনে বিক্ষোভকারীরা গাড়ির হর্ন ও থালাবাসন বাজিয়ে প্রতিবাদ জানান। মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির মুক্তি দাবি করেছেন বিক্ষোভকারীরা। খবর বিবিসির

মিয়ানমারের তরুণ ও শিক্ষার্থীরা অসহযোগ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন। তারা এই আন্দোলন চালাতে ফেসবুক পেজ খুলেছেন। ফেসবুক পেজে তাদের এই কর্মসূচিতে এক লাখেরও বেশি লাইক পড়েছে।

প্রায় ৭০টি সরকারি হাসপাতালগুলোয় কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীরা সু চির মুক্তি দাবিতে মঙ্গলবার রাত থেকে সেবা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন।

মঙ্গলবার বেশ কয়েকটি শহরের সরকারি হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরা সেনা অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে তারা বলেন, সেনাবাহিনী দ্বারা গঠিত অনির্বাচিত সরকারকে সেবা আমরা দিতে চায় না। এজন্য আমরা আন্দোলনে যাচ্ছি।

অভ্যুত্থানকালে আটক দেশটির প্রেসিডেন্ট ইউ উইন মিন্ট, স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি এবং অন্য সরকারি কর্মকর্তাদের মুক্তির দাবি করেছেন তারা। গত বছরের নভেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে জয়ীদের নিয়ে পার্লামেন্টের অধিবেশন আহ্বান করারও দাবি জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।

সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে ডাকা এ আন্দোলনে সহযোগিতা করার জন্য সারাদেশের স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

এদিকে অং সান সু চির যে মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্ব দিতেন সেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মীরাও ধর্মঘটে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

গত বছরের ৮ নভেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) নিরঙ্কুশ জয় পায়। কিন্তু সেনাবাহিনী সমর্থিত দল ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি) ভোটে প্রতারণার অভিযোগ তুলে ফলাফল মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং নতুন করে নির্বাচন আয়োজনের দাবি তোলে।

সোমবার ভোরে এনএলডি নেত্রী অং সান সু চি, দেশটির প্রেসিডেন্ট ও দলটির অন্যান্য জ্যেষ্ঠ নেতাদের আটক করা হয়। এরপর সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেয় দেশটির সেনাবাহিনী। সেইসঙ্গে দেশটিতে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন