বাবরি মসজিদ ধ্বংস ‘পরিকল্পিত নয়,’ আদভানিসহ সব আসামি খালাস
নিউজগার্ডেনবিডিডটকম:অযোধ্যার ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ধ্বংস পূর্ব পরিকল্পিত নয় বলে আদালতের রায়ে জানানো হয়েছে। এ কারণে মামলায় অভিযুক্ত প্রবীণ বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদভানি, মুরলিমনোহর জোশীসহ ৩৬ জনকেই বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে মামলার রায় ঘোষণা করেন বিচারক সুরেন্দ্রকুমার যাদব।
রায়ে বিজেপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এলকে আদভানিসহ ৩৬ আসামিই বেকসুর খালাস পেয়েছেন।
সকাল থেকে এ রায়ের দিকে তাকিয়ে ছিল গোটা ভারত। সকালে মামলায় অভিযুক্ত মোট ৩২ জনের মধ্যে ২৬ জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আসেননি সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আদভানি ও উত্তরপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিং, বিজেপি নেত্রী উমা ভারতী, সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুরলিমনোহর যোশী, বিনয় কাটিহারসহ দু’জন। তবে ইন্টারনেটের মাধ্যমে রায় দেওয়ার সময় আদালতে যুক্ত ছিলেন তারা।
রায়ে জানানো হয়, বাবরি মসজিদ ধ্বংস কোনো পূর্ব পরিকল্পিত ছিল না। আচমকা ঘটেছে এ ঘটনা। ওখানে যে হাজারো হাজারো কর সেবক ছিল তাদের মধ্যেই কেউ উসকেছে। এরসঙ্গে উচ্চস্থানীয় নেতাদের দোষ ছিল না। বরং নেতারা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ঘটনা আচমকা ঘটায়, কেউ কোনোভাবে আটকাতে পারেননি।
১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বরে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর নানান নথি এবং লখ্নৌতে আড়াইশো জন ও রায়বেলিতে ৫০ জন, সব মিলিয়ে ৩০০ জনের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছিল। তাতে কেউ বলেনি এ মসজিদ ভাঙার পেছনে কোনো নেতার হাত ছিল।
এর পাশাপাশি সেই সময় লালকৃষ্ণ আদভানির মত প্রথম সারির নেতা বলেছিলেন, তারা বাবরি মসজিদ ধ্বংসের সঙ্গে জড়িত না। মসজিদের অনেক দূরে মঞ্চ বানিয়ে শুধুমাত্র দলীয় কার্যক্রম চালাচ্ছিলেন। ফলে আদালতের রায়ে ৩২ জন বেকসুর খালাস পান।